এসএসসিতে পাসের হারে এগিয়ে রাজশাহী, পাসের হার কমেছে মাদ্রাসা বোর্ডে
তাজা খবর রিপোর্ট:: চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে পাসের হারের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর পাসের হারে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে সিলেট বোর্ড। এই বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
রোববার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ফেসবুক লাইভে ফলাফলের তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এর আগে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ফল প্রকাশ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় শিক্ষাবোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানেরা শিক্ষামন্ত্রীর হাতে ফলাফলের কপি তুলে দেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৪ শতাংশ, কুমিল্লায় ৮৫ দশমিক ২২ শতাংশ, যশোরে ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ, বরিশালে ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ, দিনাজপুরে ৮২ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৮০ দশমিক ১৩ শতাংশ।
এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের ৮৩ দশমিক৭৫ শতাংশ।
মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার কমেছে
গত বছরের তুলনায় এবার দাখিল পরীক্ষায় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার কমেছে। এ বছর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৫১ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৩ শতাংশ।
এবার দুই লাখ ৭৬ হাজার ৮১৫ দাখিল পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে দুই লাখ ২৮ হাজার ৪১০ জন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে এ বছর পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮১৫ জন। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২ লাখ ২৮ হাজার ৪১০ জন। মোট পাসের হার ৮২ দশমিক ৫১ শতাংশ।
গত বছর (২০১৯) পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৭১০ জন। গত বছর মোট পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৩ শতাংশ।
এ বছর ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৪ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৮২ দশমিক ৭৩ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৭৫ শর্তাংশ, যশোর বোর্ডে ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৮৫ দশমিক ২২ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮০ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে ৭২ দশমিক
৭০ শতাংশ।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের রেওয়াজ আছে। সেই হিসাবে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ফল প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে ফল তৈরির কাজ বন্ধ ছিল।